গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন,ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর সদর উপজেলার ৬নং মঠবাড়ি ইউনিয়নের বদনিকাঠি বাজারে প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বদনীকাঠি ১১৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাংশ জমি জবরদখল করেছে একটি প্রভাবশালী মহল।
ইতোমধ্যে চক্রটি ঈদের আগের দিন রাতের আঁধারে বিদ্যালয়ের ওই জমিতে শাহআলম খানের একটি পুরোনো দোকান ঘর গায়েব করে কাঠখুটি দিয়ে টিনশেট দোকান ঘর বানিয়ে ফেলেছে।
ভুক্তভোগী পুরোনো দোকানের মালিক সকালে দেখে এর প্রতিবাদ করলে উল্টো তাকে হুমকি দামকি দিলে তিনি জমি উদ্ধারে জন্য ঐ দিন রাজাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পেলে গত ৪/০৮/২০২০ ইং তারিখ মামলাটি এজাহার ভুক্ত করেন, যাহার মামলা নং ৩।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য মো.শাহ আলম খানের বাবা ও চাচারা স্কুলের নামে উক্ত সম্পত্তি দানপত্র দিয়েছে। উক্ত জমির ২শতাংশ জমিতে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ একটি দোকানঘর তুলে শাহ আলম খান ব্যবসা করেন।
এ জমিটি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে পার্শ্বের জমির মালিক স্থানীয় মাহাবুবুর রহমান খান,মঞ্জিল খান,মহশিন খান উভয় পিতা ইয়াকুব আলী খান গ্রাম বদনিকাঠী।
এদের কাগজপত্র না থাকার কারণে রাতের আঁধারে কৌশলে ওই জমির ওপর পুরোনো দোকানটি গায়েব করে টিনশেট দোকান ঘর নির্মাণ করেন মাহাবুবুর রহমান খান।
সকালে শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন নতুন দোকান ঘর দেখে হতবাক হন।
এব্যপারে মামলার বাদী মো.শাহ আলম খান জানায়,গত কোরবানির ঈদের আগের দিন রাতে রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বদনিকাঠি বাজারের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার দুই শতাংশ জমির উপর একটি দোকান ঘর ছিলো সেই দোকনটি রাতের আধাঁরে কোথায় নিয়ে গেছে জানি না। সকালে দেখি সেই জায়গায় নতুন টিনের দোকান তৈরিকরে ভিতরে রড সিমেন্ট রেখেছে। আমার প্রতিবেশী মাহাবুব বদনিকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকুরি করে এই দাপটে সে কিছুই পরোয়া করে না। এই মাহাবুব গংদের ভয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। এরা আমাকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে।
এ ব্যাপারে বদনিকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত অভিযুক্ত মাহাবুবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জমি আমাদের বাবা ও দাদার নামে এস এ বিএস রেকর্ড দুই শতাংশ আমাদের নামে হয়েছে। শাহ আলম খান যে,দাবি করে তাদের কিছুই নাই।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শহিদুল ইসলাম বলেন,বদনিকাঠি দোকান ঘর দখল নিয়ে শাহ আলম একটি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে এজাহার হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে।
Leave a Reply